ঠ্যাসসস ঠ্যাসসস . . . .
করে একটা মেয়ে দুই-চারটা চড় বসে দিল আমার গালে। আমি উপরে তাকানোর আগেই মেয়েটা আমাকে বলতে শুরু করলো . . . .
সুন্দরী মেয়ে দেখলে শরীর ঠিক থাকে না? শরীরে হাত দিতে ইচ্ছে করে? মেয়েদের কে তো ইভটিজিং ভালোই করোস।বাসায় মা বোন নাই না কি?মা বোন থাকলে তো আর বাইরে মেয়েদের সাথে ইভটিজিং করতি না। কি ভাবে যে এই লুচ্ছা গুলা ভার্সিটি তে চান্স পায় আল্লাহ ভালো জানেন। এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে থামলো মেয়েটা।
.
আমি এতক্ষণে সামনে তাকাতেই ক্রাশ খেলাম মেয়েটার উপর।কিন্তু আমি মেয়েটার কথা গুলো কানে না নিয়ে দেখতে লাগলাম মেয়েটার সুন্দর্যকে।
যদিও মেয়েটার কথা গুলো শুনে ইচ্ছা করছিল দু চারটা চড় মেরে হাত পা ভেঙে দেই। কিন্তু তা করলাম না।শুধু মনে মনে বললাম, পরে মজা বুঝতে পারবি সোনা কার শরীরে হাত দিছো তুমি।তবে এর আগেও অনেককেই মেডিকেলে পাঠায় দিসলাম।
.
আসলে কি হয়েছিল শুনেন মূল ঘটনা
আজকে আমার প্রথম ভার্সিটিতে আসা।আমি খুবই স্বাভাবিক ও সাধারণ ভাবেই ভার্সিটিতে আসলাম।কিন্তু সমস্যা হলো আমি মাথা নিচু করে গেইট দিয়ে ঢুকতে ছিলাম এমন সময় একটা মেয়ে নিজ ইচ্ছায় এসে আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে আমাকে....... উপরে যা পড়েছেন তাই। বার বার বলা যাবে না,।কারণ আমার তো মান সম্মান আছে তাই না?
ভালো করে মেয়েটার পুরো শরীর একবার দেখে মাথার মেমোরিতে কপি করে রেখে দিলাম। তারপর আমি কোন কথা না বলেই ওখান থেকে চলে আসলাম আর আমার ক্লাস রুম খুজতে লাগলাম। অবশেষে পেয়ে গেলাম আমার ক্লাস রুম।
.
আমার নাম পলক।এবার অনার্য প্রথম বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্র। এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। গল্প পড়তে থাকেন এমনিতেই জানতে পারবে।এর মাঝে রহস্য তো আছেই।
.
আমি ক্লাসে বসে আছি স্যার ক্লাসের সবার পরিচয় নিতেছেন।আর আমি ফোন টিপতেছি পিছনের বেঞ্জে বসে।হঠাৎ সামনে চোখ যেতেই ওই মেয়েটা কে দেখলাম। আর দুজনের পরেই সে তার পরিচয় দিবে।তাই আমি আর ফোন না চেপে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
.
অবশেষে সে পরিচয় দিল।তার নাম শারমিন।বাসা ভার্সিটির পাশেই বলতে হয়।বাবা বিদেশে থাকে আর মা বাসায় থাকেন। আর শারমিনের কোন ভাই বোন নেই।
একটু শুনেই আমি আবারও ফোন চাপতে শুরু করলাম।
.
আমি ভালো ছাএ না কি খারাপ তা আমি বললাম না। আপনারা এমনিতেই জানবেন।নিজের প্রশংসা নিজে না করাই ভালো।তবে আমি সব চেয়ে পিছনের বেঞ্জে বসতে পছন্দ করি।কারণ আমি স্বাধীনতা পছন্দ করি সব সময়।
.
কয়েকটা ক্লাস করার পরে বুঝতে পারলাম যে শারমিন কে সকল স্যার ম্যাডাম চিনে।আর ছাএী হিসেবেও বুঝা যাচ্ছে ভালো।তাই কিছু বলার বা কিছু করার আগে সাধানতা অবলম্বন করতে হবে।
.
আমি ক্লাস থেকে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম রাজিব ভাই মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। রাজিব ভাই আমার থেকে এক ইয়ার সিনিয়র ।
.
আমি রাজিব ভাইয়ের কাছে যেতেই সে বললো, কি পলক যে এখানে? কবে আসছো ঢাকায়?আর আমাদের কে বলো নি কেনো?
আমি বললাম, এই তো কালকে আসছি, আজকে ভর্তি হলাম। কেমন আছেন?
রাজিব ভাই বললো, ন্হম ভালোই। তবে তুমি আসবা এখানে আর আমাদেরকে বলবা না?
.
এমন সময় শারমিনও ক্লাস রুম থেকে বের হয়। আমি শারমিন কে দেখিয়ে বললো, ভাই ওই মেয়েটা কে? চিনেন ?
-আচ্ছা তুমি ভাই ভাই করতেছো কেনো?
-আমি চাই আমার সম্পর্কে কেউ যেন কিছু না যানে।আর আপনিও কেউকে বলবেন না আশা করি।
-আচ্ছা ঠিক আছে বলবো না।
-এখন বলেন ওই মেয়েকে চিনেন কি??
.
-হ্যা চিনি কিন্তু সব কিছু জানিনা ওর সম্পর্কে। যদি তোমার লাগে তাহলে ওই মেয়ের চৌদ্দ গুষ্টির সম্পর্কে তোমাকে দিয়ে দিব।
-এতো কিছু লাগবে না আমার।শুধু ওই মেয়ের সম্পর্কে জানালেই হবে।
-আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাকে বিকালের মধ্যে দিতেছি।
-আচ্ছা ঠিক আছে পরে কথা হবে।
এই বলে আমি রাজিব ভাই এর কাছ থেকে চলে আসলাম।
.
টিপিন টাইম শেষ করে আমার ক্লাস রুমে ঢুকতে যাবো এমন সময় কে যেনো আমার পায়ে বাধা দেয় / আঘাট করে ।ক্লাসে যারা ছিলো সবাই ভাবছিলো আমি হয় তো সামনের দিকে পরে যাবো। কিন্তু আমি পড়ে না গিয়ে ফ্লোরে হাত দিয়ে বুক ডাউন দিলাম।
.
এতে সবাই অবাক এ হলো।কেউ ভাবতেই পারে নি যে আমার মতো আনস্মার্ট একটা ছেলে এভাবে বুক ডাউন দিবে।এতে অনেক এ হাত তালিও দিলো।তবে বড় কথা হলো যে আমাকে বাধা দিসলো সে হলো শারমিন। আর ও লজ্জা পেলো এই কাজ টা করে।
.
আমি উঠে শারমিনের কাছে যেতেই আবারও বলা শুরু করলো....
এই এই দাড়া দাড়া তুই। এই ফকিরনীর পোশাক পরে আমার কাছে আসবি না। একদিন যেতে না যেতেই পিছনে ঘুরাঘুরি শুরু করে দিছে। তোর লজ্জা করে না মেয়ের হাতে মাইর খেতে?? ওহ তোর লজ্জা করবে কেন?রাস্তার ছেলেদের লজ্জা আছে না কি আবার।
.
শারমিন এগুলো বলতেছে আর আমি দাড়িয়ে হাসতেছি এই ভেবে যে আমার পরিচয় পেলে ও দাড়িয়ে থাকতে পারবে না আর কথা বলা তো দূরের কথা। আর কে কার পিছনে ঘুরাঘুরি করে তা দেখা যাবে।
.
আমার হাসি দেখে ও বললো, ওই হাসবি না একদম। আর একবার হাসলে তোর হাত বা ভেঙে দিয়ে মেডিকেলে পাঠায় দিব।
.
এমন সময় স্যার ক্লাসে আসলো। তাই আমিও কিছু না বলে আমার জায়গায় গেলাম। আর বাকি স্টুডেন্ট গুলো যেনো বিনা মূল্যে সিলেমা দেখলো।আরো ভালো একটা সিনেমা দেখতে পারতো যদি স্যার ক্লাসে না আসতো।
.
এভাবে কেটে গেলো ভার্সিটির প্রথম দিন।
পরের দিন সকালে ভার্সিটি আসার কারণে মাঠে একটাই বসে আছি।
হঠাৎ লক্ষ করলাম ৮/১০ টা মেয়ে আমাকে চার দিক দিয়ে ঘিরে ধরেছে।
আর সবার মাঝে আমি বসে আর শারমিন দাড়িয়ে আছে।
এমন সময় শারমিন আমাকে একটা লাথি দিতে ধরল। তখন আমি তার আগেই উঠে শারমিনের মাথাটা ধরে ঠোঁটে কিসস সরি গালে কিসস করলাম। এতে সবাই অবাক হয়ে যায়।
এরপর আমি আর কিছু না বলে দুই টা মেয়েকে হাত দিয়ে সরিয়ে সোজা ক্লাস রুমে চলে আসলাম।
.
.কিন্তু ক্লাস রুমে এসে বেশি ক্ষণ থাকতে পারলাম না। কারণ, আমার দুই ঠোঁটে আতা ময়দা লেগেছিল। তাই
ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
আমি কিছু বুঝি না!
সুন্দরী মেয়ে গুলোও কেনো যে আতা ময়দা মাখে।
আতা ময়দা না মাখলে মনে হয় মেয়ে জাতির কলঙ্ক হবে।
.
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি স্যার ক্লাসে চলে আসছে।
এরপরে প্রথম ক্লাস করলাম। প্রথম ক্লাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে পিওন আমাকে ডাক দিয়ে বললো আমাকে কলেজের প্রিন্সিপাল আমাকে যেতে বলছে।
.
আমি একটু অবাক এ হলাম।কারণ আমি এমন কি করলাম যে আমাকে ডাকবে?
আমি একটু ভাবলাম, তারপর মনে পড়লো যে সকালে তো শারমিন কে কিস করছি। সে জন্য ডাকছে না কি?
প্রথম ক্লাসে তো ওকে দেখলাম ও না।
.
এরপর প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি . . . . .
গল্পঃ বড়লোকের মেয়ে vs ছদ্নবেশি ছেলে
পাঠঃ ১
Rezwan Babu Rasel